কুড়িগ্রামের রৌমারীতে অপহরণ মামলায় মো. জাকির হোসেন (৫০) নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় পরে তাকে রৌমারী থানায় নিয়ে আসা হয় এবং মঙ্গলবার (৩১ মে ২০২২ ইং) সকালে আসামীকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
অপহরণ মামলার আসামী জাকির হোসেন রৌমারী উপজেলার ১নং দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘের হাট এলাকার তেকানি ঝগড়ার চর গ্রামের সোহরাব আলী ছেলে।
রৌমারী থানার ওসি (তদন্ত) এম আর সাঈদ জানান, ২০২২সালের ১১ ফেব্রয়ারি রাতে একই ইউনিয়নের কাউয়ারচর গ্রামের মৃত চাঁন মন্ডলের ছেলে শালু মিয়া (৩৫) কে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগ উঠে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শালু মিয়ার ভাই আব্দুস ছালাম মন্ডল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর অধিকতর খোঁজা খোঁজি করে সন্ধান না পেয়ে স্ত্রী রেজেকা বেগম বাদি হয়ে গত ২৯ এপ্রিল ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, খয়বর আলীসহ অজ্ঞাত আরও তিনকে আসামি করে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এরপর আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিকে গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা থেকে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতার করে রৌমারী থানায় আনা হয়।
মামলার বাদি শালু মিয়ার স্ত্রী রেজেকা খাতুন বলেন, আমার স্বামি শালু মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের ব্যবসায়ীক বিরোধ চলে আসছিল। এরই সূত্র ধরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষয়টি মিমাংসার জন্য জাকির হোসেন আমার স্বামিকে ফোনে দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের স্লুইটগেট এলাকায় আসতে বলেন। আমার স্বামি তার ফোন পেয়ে দ্রুত উক্তস্থানে চলে যান। আমিও তার পিছু পিছু সেখানে যাই। গিয়ে দেখি জাকির হোসেন, খয়বর আলীসহ অজ্ঞাত আরও দুই তিন সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন। তাদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পযার্য়ে আমার স্বামিকে জোর পূর্বক তারা তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে তারা নানা ধরণের টালবাহানা করতে থাকেন। আমার ধারণা তারা তাকে অপহরণের পর গুম করেছে। আমি আমার স্বামিকে ফেরত চাই।
রৌমারী থানায় (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান।