দীর্ঘ তিন মাস ১৯ দিন পর কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের আলোচিত শালু হত্যায় জড়িত ইউপি সদস্য জাকির হোসেন , খয়বর আলী ও জিয়াকে গ্রেফতার ও মাটি চাপা দেয়া মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে রৌমারী থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৩ জুন ২০২২ ইং) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত শালু মিয়া ছিলেন জাকির মেম্বারের মাদক পরিবহনকারী। শালু ৫ থেকে ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ক্যারিয়ার করার সময় সেগুলো আত্মসাতের চেষ্টা চালায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাকির মেম্বার তার সহযোগি খয়বর আলী ও জিয়াকে নিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে মাটিচাপা দেয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রৌমারীর দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের কাউয়ার চরের মৃত: চাঁন মিয়ার ছেলে শালু মিয়া নিখোঁজ হয়। পরে তার স্ত্রী রেজেকা বেগম বাদী হয়ে ২৯ এপ্রিল জাকির মেম্বার, খয়বর আলী ও অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে এজাহার দায়ের করে।
পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় গতি সোমবার জাকির মেম্বারকে ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার সহযোগি খয়বর আলীকে ঢাকার গাজীপুরের কোনাবাড়ী এবং জিয়াকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার জিঞ্জিরাম নদীর পূর্ব পাড়ে জাকির মেম্বারের পতিত জমি থেকে মাটি চাপা অবস্থায় শালুর বস্তাবন্দি অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সদর সার্কেল জিয়াউর রহমান, উলিপুর সার্কেল মাইদুল ইসলামসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী গণ ।