শনিবার,

১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

|

৩০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

|

১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শনিবার,

১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

|

৩০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

|

১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ABC News

মানিকগঞ্জে জামায়াতের ঐতিহাসিক  কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

মোঃ শাহ আলম, বিশেষ প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ০৮:০৮ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২৪

আপডেট: ০৮:০৯ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২৪

মানিকগঞ্জে জামায়াতের ঐতিহাসিক  কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

 বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ন্যূনতম সংস্কারের পর যৌক্তিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে। তবে এই যৌক্তিক সময় কতদিন বা কত বছর তা নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাহী বিভাগ সংস্কারের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলেই জাতীয় নির্বাচন হতে পারে। মানিকগঞ্জে ২জন শহিদের কথা তুলে ধরেন।মানিকগঞ্জের জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনকে ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলন বলে ঘোষণা দেন। শহিদ মীর কাশেম আলীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। জামায়াতে ইসলাম দেশের শাসক হতে চায়না সেবক হতে চায়। তার বক্তব্য জামায়ত ক্ষমতা গেলে  দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে বলে জানান তিনি।  

২৩ নভেম্বর শনিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময়  মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে(বিজয় মেলার মাঠে) জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মেলনে জেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ  মাওলানা মো: কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে জেলা জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।বিজয় মেলা মাঠ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত। 

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও অঞ্চল পরিচালক (ঢাকা উত্তর অঞ্চল)  জনাব অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইজ্জত উল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ঢাকা উত্তর অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা মো:দেলওয়ার হোসাইন। জেলা জামায়াতের আমীর হাফেজ মাওলানা মো:কামরুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি জনাব মাওলানা মো:নূরুল ইসলাম,জামায়াত নেতা হাফেজ মাওলানা মো: আবুল কালাম আজাদ,সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মো :জাহিদুর রহমান  প্রমুখ। তিনি আরও বলেন, সকল মানিকগঞ্জ জেলা  জামায়াতে ইসলামীর সহযোগীরা কর্মী হয়ে যাবেন, আর সকল কর্মীরা রুকন হয়ে যাবেন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ৫ আগস্টের চারদিন আগে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপর চারদিনও টিকতে পারেনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। জনরোষে পড়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা ও তার আত্মীয়-স্বজন। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বিচার জনগণই করবে। তারা নির্বাচনে আসতে পারবে কিনা সেটি জনগনের চাহিদার উপর নির্ভর করবে। আইনি প্রক্রিয়ায় খুনি শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি কার্যকর করা হবে বলেও তিনি জানান।

 আওয়ামী সরকার বিগত ১৫ বছর যাবৎ দেশের নাগরিকদের ভোট দিতে দেয়নি। আমরা   তারা দেশের গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়। সর্বাগ্রে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করে জনআকাক্ষার  প্রতি সম্মান দেখাবে।