বুধবার,

৩০ এপ্রিল ২০২৫

|

১৭ বৈশাখ ১৪৩২

|

০১ জিলক্বদ ১৪৪৬

বুধবার,

৩০ এপ্রিল ২০২৫

|

১৭ বৈশাখ ১৪৩২

|

০১ জিলক্বদ ১৪৪৬

ABC News

ফেনীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে  সাংবাদিকের ফারুকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

ষ্টাফ রিপোর্টার :

প্রকাশিত: ০৮:১১ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫

আপডেট: ০৮:১১ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২৫

ফেনীতে সংবাদ প্রকাশের জেরে  সাংবাদিকের ফারুকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা

 

সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক ইনকিলাব'র ফেনী প্রতিনিধি ওমর ফারুক'র উপর হামলা চালিয়েছে  একদল বালুদস্যু ও সন্ত্রাসীরা। 

২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার দুপুরের দিকে সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সিলোনীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সালেহ আহমদের দোকানের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পেশাগত কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের দিকে আসার সময়  ওই মাদ্রাসা সড়কে ৪টি মোটর সাইকেলযোগে একই ইউনিয়নের যাত্রাসিদ্দি গ্রামের ওমর ফারুকের নেতৃত্বে স্থানীয় সোহাগ, মামুন, তারেক, রাসেল ও কিরণসহ একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক ওমর ফারুকের উপর হামলা চালায়।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে  ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন ফেনীর পুলিশ সুপার মো.হাবিবুর রহমান ও জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

এ ঘটনায় ফেনী প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি ও ফেনী  সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানানো হয়। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, হামলায় জড়িতদের   দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন আহত সাংবাদিকের পরিবার।

প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক শাহাদাত হোসাইন বলেন, সিলোনিয়া মাদরাসা সংলগ্ন চা-দোকানে বসা অবস্থায় ফারুকের ওপর হামলা করে চিহ্নিত বালু ও মাটি দস্যুরা। ৭ টি মোটরসাইকেলযোগে ১০/১২ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী হত্যার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকের ফারুকের ওপর হামলা করে। 

ফেনীর পুলিশ সুপার মো.হাবিবুর রহমান জানান, সাংবাদিকদের উপর হামলার খবর পেয়েই
তিনি হাসাপাতালে গিয়ে আহত ওমর ফারুকের চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। 

 এ হামলায় জড়িতদের  ছাড় দেওয়া হবেনা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার আরও বলেন, শীঘ্রই দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। 

প্রসংগত, গত ৪ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার 'ফেনীতে বালু লুটের অভিযোগ' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিক ওমর ফারুক। 

ওই সংবাদে  উল্লেখ করা হয়, বালু লুটে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন জেলা যুবদল নেতা শিপন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামাই ফারুক, ইউনিয়ন তাঁতীদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, সদর উপজেলা শ্রমীক দল নেতা মামুন, সদর উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সেক্রেটারী রাফিক ও সহযোগীরা। 

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হামলায় জড়িতরা তাকে খুঁজে না পেয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সাংবাদিক ওমর ফারুকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিয়ে আসে।