
মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানা পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িত ইয়াবা হুমায়ুনের শ্যালক আমিনুরের (২৬) জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার (৪ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আব্দুর নূরের আদালতে পুলিশের উপর হামলাকারী ইয়াবা হুমায়ুনের ছোট ভাই শাহিনুর ও শ্যালক আমিনুরের জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক শাহিনুরকে জামিন দিলেও ইয়াবা হুমায়ুনের শ্যালক আমিনুরের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামী পক্ষে শুনানি করেন - অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। অপরদিকে, রাষ্ট্র জামিনের বিরোধিতা করেন সিএসআই। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট মো: শহিদুর রহমান।
জামিন না হওয়া আমিনুর সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের বেরুন্ডি গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে। সে ধল্লা গ্রামে বসবাস করে বিভিন্ন অপকর্ম করছে বলে জানা গেছে। গত ১৯ এপ্রিল বিকেল ৩ টায় উপজেলার ধল্লা লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন গাদুর ছেলে ইয়াবা হুমায়ুনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে গেলে আমিনুর তার বোনের জামাই হুমায়ূনের পরিবারের লোকজনের সাথে পুলিশের উপর হামলা করে। এতে পুলিশ বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এর আগে পুলিশ হুমায়ুনের ভাই আক্তার হোসেন ও ভাবি ইয়াসমিন আক্তার চায়নাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশ। এর মধ্যে তিনজনকে জামিন দিলেও মামলার আল ইসলাম নামের এক এজাহারভুক্ত আসামী এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেল-হাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রায় ডজন খানেক মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে গত ১৫ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯ টার দিকে ধল্লা বাজারে পল্লী উন্নয়ন সংস্থার অফিসের সামনে সিংগাইর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি ও দৈনিক ফুলকি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মাসুম বাদশাহর ওপর ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা সালাম ও ইয়াবা হুমায়ুনসহ তাদের অন্যতম সহযোগী আনোয়ার, ওয়াজুদ্দিন,জিসানসহ ৮-১০ জন হামলা করে। এই ঘটনায় পরদিন মাসুম বাদশাহ বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ইয়াবা হুমায়ূনকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় হুমায়ুনসহ তার পরিবারের লোকজন পুলিশের উপর হামলা করে। এতে থানার এসআই পার্থ শেখর ঘোষ, দুই পুলিশ সদস্য- মাহবুবুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম আহত হন।