মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলার কাকনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মিয়া নিকট থেকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করানোর অভিযোগ উঠেছে । এবিষয়ে ওই প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় ১৫/২০ জন বহিরাগত লোক জোরজবরদস্তি করে অন্যের লেখা পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয় ।
সরেজজমিনে জানা যায়, ১ লা সেপ্টেম্বর তারিখ বেলা ১১ টায় স্থানীয় জনতা, আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা দেলাওয়ার হোসেন, মামুন মিয়া, রাজীব,তফিজ ও আলতাফ ও আলমের নেতৃত্বে ও ওই স্কুলের প্রাক্তন সাধারন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। উপস্থিত জনতা দেলোয়ারের নেতৃত্বে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, নিষ্ঠার সাথে আমি দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। সাম্প্রতিক এলাকার একটি কুচক্রী মহল কিছু সাবেক শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আমার অফিস কক্ষে ঢুকে আমার সাথে অশুভ আচরণ করে। আমাকে নানা হুমকি দিয়ে জোর করে কাগজে স্বাক্ষর নেয়। আমি প্রাণ রক্ষার্থে ও শারীরিক লাঞ্চনার হাত থেকে বাঁচতে চাবি ও স্বাক্ষর দিয়েছি। পরবর্তীতে লিখিত ভাবে আমি ইউএনও স্যারের নিকট ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এমদাদুর রহমান তালুকদার এঘটনার প্রতিকার চেয়েছি।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রজত বিশ্বাস বলেন , এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। কোনো শিক্ষককেই জোর করে পদত্যাগ করানো যাবেনা এবং হেনাস্তা করানো যাবেনা। যদি কারো বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ থাকে সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং সরকারী সিদ্ধান্ত যেভাবে দিবে সেই ভাবে আমরা পরবর্তীতে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।