নাটোরের নলডাঙ্গায় দুটি গুই সাপকে কুস্তি করতে দেখা গেছে। সম্প্রতি উপজেলার তৈরাপাড়া এলাকায় বিরল এই দৃশ্য দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমান।
নলডাঙ্গা উপজেলার তৈরাপাড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,সকালে রেলওয়ের সংলগ্ন খালের পানিতে হঠাৎ দুটি গুই সাপকে মাথা উঁচু করে কুস্তি করতে দেখা যায়। প্রথমে গ্রামের এক তরুণ ঘটনাটি দেখতে পান। পরে ওই বিষয়টি আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এলাকার মানুষ সেখানে ছুটে আসেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সাপ দুটি অনেকটা নাচের তালে একে অন্যের সঙ্গে কুস্তি করে। পানি থেকে প্রায় এক ফুট উঁচুতে দেহ খাড়া করে তারা এই কুস্তিতে মেতে ওঠে। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়েও সাপ দুটি সরে যায়নি। তবে আশপাশের লোকজনও তাদেরকে বিরক্ত করেনি।
স্থানীয়রা বলেন,এর আগে কখনো গ্রামের মানুষ সাপের লড়াইয়ের এমন দৃশ্য দেখেনি। তাই বিভিন্ন বয়সের মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে সাপের এই লড়াই উপভোগ করেছেন। এক ঘণ্টা লড়াই চলেছে। এরপর সাপ দুটি চলে যায়।
বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের প্রচার সম্পাদক ও স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ বাংলার সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বী বলেন,গুইসাপরা সহজাত ভাবে টেরিটোরিয়াল। টেরিটোরি রক্ষা করতে গিয়ে মাঝে মাঝে তারা যুদ্ধে জড়িয়ে যায়। তারা আসলে এক জোড়া পুরুষ কুস্তি করছে। যে গুইসাপ অন্য সাপকে মাটিতে ঠেলে দেয় সে জয়ী হয়। প্রকৃতপক্ষে গুইসাপ কোনো সাপই নয়। এর কোনো বিষও নেই,মানুষকে দংশনও করে না। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী গুইসাপ সংরক্ষিত। তাই এটি হত্যা, শিকার বা এর কোনো ক্ষতি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।