মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় আধুনিক স্বনির্ভর প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ও রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায়‘সমলয়’ চাষাবাদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাইব্রিড বোর ধানের চারা রাইস ট্টান্সপ্লান্টার যন্ত্র দ্বারা রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার ঘিওর ইউনিয়নের মাইলাগী ব্লকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে মাইলাগী গ্রামের ব্লকে ২০২৩/২৪ অর্থবছরে রবি মৌসুমে ১০০ পরিবারের ১৫০ বিঘা জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয় ।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু মোঃ এনায়েত উল্লাহ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জেলা কৃষি প্রকৌশলী শেখ মোঃ নাজিম উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আহমেদ শামীম ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মাহেলা, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম,সমলয় সমিতির সভাপতি একেএম আক্তার হোসেন বাবুল ও হারেজ মিয়া সহ স্থানীয় কৃষকরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সৈকত ওসমান।
উদ্বোধনকালে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু মোঃ এনায়েত উল্লাহ বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষাবাদের যাবতীয় খরচ বহন করবে সরকার। আধুনিক চাষাবাদের ধারণা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার করে ৫ ভাগের ৪ ভাগ কম খরচে বেশি ফসল ফলানো যাবে। এবং অল্প দিনের মধ্যে কৃষক তার ফসল ঘরে উঠাতে পারবে।এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প শেষের মাধ্যমে ফসল ফলানো যায়। যেকোনো দুর্যোগ আবহাওয়ার মধ্যেও অল্প সময়ে ফসল গড়ে তোলা যায়। তাই আপনারা সমালোয়ে সকলেই এই প্রযুক্তি ব্যবহার করুন এবং আপনাদের যেকোনো পরামর্শ উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে আপনাদের সমস্যার কথা তুলে ধরবেন এবং বেশি বেশি ফসল ফলাবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম বলেন, সমলয় পদ্ধতিতে একশজন কৃষক তাঁদের ১৫০ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন। এ পদ্ধতিতে কৃষকের বিঘা প্রতি অন্তত ১২/১৫ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে; বিঘা প্রতি হাইব্রিডে ৩৫/৪০ মণ ধান উৎপাদনের প্রত্যাশা করছি।
এ প্রকল্পের সভাপতি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে আধুনিক যন্ত্রনির্ভর ও সরকারি প্রলোদনার আওতায় ’সমলয় চাষাবাদে’ ধান চাষ পদ্ধতি পাল্টে দেয়ার স্বপ্ন দেখাছেন কৃষকরা। উপজেলায় এ বছরই প্রথম এ পদ্ধতিতে ধান চাষের আওতায় আনা হয়েছে শত কৃষককে । তিনি আরো বলেন এই প্রযক্তির ফলে যে জমিতে দুই ফসল হতো সে জমিতে ৩ ফসল হবে আবার যে জমিতে তিন ফসল হতো সে জমিতে ৪ ফসল উৎপাদন করা সম্ভব।