Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /home/banglam2/abcnews.com.bd/common/config.php on line 162

Warning: session_start(): Session cannot be started after headers have already been sent in /home/banglam2/abcnews.com.bd/details.php on line 108
নেক আমল নষ্টের কারনসমুহ

শনিবার,

১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

|

৩০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

|

১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শনিবার,

১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

|

৩০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

|

১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ABC News

নেক আমল নষ্টের কারনসমুহ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

প্রকাশিত: ১০:৩০ এএম, ০৩ জুন ২২

নেক আমল নষ্টের কারনসমুহ

ছবিঃ সংগৃহীত

যেসব পাপ করলে নেক আমল নষ্ট হয়ে যায়

লোক দেখানো আমল : আল্লাহ ছাড়া অন্যের জন্য আমল করা। যারা আমলের বিনিময়ে শুধু পার্থিব জীবনে সুখ-শান্তি, যশ-খ্যাতি প্রত্যাশা করে। লোক দেখানো মনোভাব নিয়ে কাজ করে। এমন আমল তার জীবনের সব নেক আমল বিনষ্ট করে দেবে। আল্লাহ বলেন, ‘যে কেউ দুনিয়ার জীবন ও তার শোভা কামনা করে, দুনিয়াতে আমরা তাদের কাজের পূর্ণ ফল দান করি এবং সেখানে তাদের কম দেওয়া হবে না। তাদের জন্য আখিরাতে আগুন ছাড়া অন্য কিছুই নেই এবং তারা যা করেছিল আখিরাতে তা নিষ্ফল হবে। আর তারা যা করত তা ছিল নিরর্থক। ’ (সুরা হুদ, আয়াত : ১৫, ১৬)

দান করে খোঁটা দেওয়া : কাউকে কোনো কিছু দান করে খোঁটা দেওয়া কিংবা অনুগ্রহ প্রকাশ করা। এটি একটি মন্দ অভ্যাস, যা সমাজের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত। কিন্তু কেউ যদি এ কাজ করে বসে তাহলে তার জীবনের নেক আমল বাতিল হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনরা, দানের কথা বলে বেড়িয়ে এবং কষ্ট দিয়ে তোমরা তোমাদের দানকে ওই ব্যক্তির মতো নিষ্ফল করো না, যে নিজের সম্পদ লোক দেখানোর জন্য ব্যয় করে থাকে এবং আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান রাখে না। ফলে তার উপমা হলো এমন একটি মসৃণ পাথর, যার ওপর কিছু মাটি থাকে, তারপর প্রবল বৃষ্টিপাত সেটাকে পরিষ্কার করে দেয়। যা তারা উপার্জন করেছে তার কিছুই তারা তাদের কাজে লাগানোর ক্ষমতা রাখে না। আর আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৬৪)

 ইচ্ছাকৃত আসরের নামাজ ছেড়ে দেওয়া : মুমিনের কাছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রকৃত মুমিন কোনো নামাজ ছাড়তে পারে না। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে আল্লাহ তাআলা আসরের নামাজের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নামাজের প্রতি যতœবান হবে, বিশেষত মধ্যবর্তী (আসরের) নামাজের প্রতি। এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা দাঁড়াবে বিনীতভাবে। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৮)

কেউ যদি ইচ্ছাকৃত আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তাহলে তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। বুরাইদা (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আসরের নামাজ ছেড়ে দেয় তার আমল বিনষ্ট হয়ে যায়। ’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৫৩)

যারা রাসুল (সা.)-এর মজলিসে ওঠাবসা ও যাতায়াত করত, তাদের এ আদব-কায়দা ও শিষ্টাচার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য ছিল নবীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ ও কথাবার্তার সময় যেন ঈমানদাররা তাঁর সম্মান ও মর্যাদার প্রতি একান্তভাবে লক্ষ্য রাখেন। অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসুলের আনুগত্য করো, আর তোমরা তোমাদের আমল বিনষ্ট কোরো না। ’ (সুরা মুহাম্মাদ, আয়াত : ৩৩)

মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।