২০২১ সালের চলতি এই মাসের (শুক্রবার ১৯শে নভেম্বর) তারিখে একটি চন্দ্রগ্রহণ মধ্যরাতে দেখা যাবে। এটিই হবে এই শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে দেখা গেলেও ঘটনাটি উত্তর আমেরিকা থেকে সবচাইতে ভালো দেখা যাবে। নাসা জানিয়েছে, ছায়ায় ঢাকা থাকবে চাঁদ ৩ ঘন্টা ২৮ মিনিট। এই গ্রহণ দুই আমেরিকা, পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে দেখা যাবে এবং ভোর চারটার দিকে সবচেয়ে ভালো করে বোঝা যাবে। নাসা আরও জানিয়েছেন, ১৯ নভেম্বর এই গ্রহণের সময় চাঁদের ৯৭ শতাংশ লাল হয়ে থাকবে। যদিও এটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ নয়। এতে চাঁদ আংশিকভাবে পৃথিবীর আড়ালে চলে যাবে। ২০০১ সালের পর কখনো এত বড় চন্দ্র গ্রহণ আর হয়নি।
অন্যদিকে ২১০০ সাল পর্যন্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। সে কারণে একে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় গ্রহণ বলা হচ্ছে। এদিকে, এই গ্রহণকে ঘিরে রয়েছে নানান সংস্কার এবং কুসংস্কার। অনেকেই বলেন চন্দ্রগ্রহণ কিংবা সূর্যগ্রহণ নাকি অপবিত্রতা। আর তাতে নাকি বাড়ি, মন্দির সর্বত্রই এর প্রভাব পড়ে। ফলে গ্রহণের সময় পূজা-অর্চনাও বন্ধ রাখা হয়। গ্রহণ শেষ হলে ঘরবাড়ি পরিষ্কারও করেন অনেকে। এছাড়াও অনেকে গ্রহণ চলাকালীন বাড়ির রান্না ফেলে দেন। গ্রহণ শেষ হওয়ার পরে শুরু করেন রান্নাবান্ন। শুধু তাই নয় অনেকে বলেন, গ্রহণ চলাকালীন প্রচুর বিকিরণ পৃথিবীতে চলে আসে। যা নাকি মানব দেহের জন্যে খারাপ। তাই গ্রহণের সময় চাঁদের দিকে নাকি সরাসরি তাকানো উচিত নয়। তবে সূর্যগ্রহণ অপেক্ষা চন্দ্রগ্রহণে বিকিরণ অনেক কম। একটি এক্সরের চেয়ে অনেক বেশী বিকিরণ ঘটে চন্দ্রগ্রহণে। এখানেই শেষ নয়, গর্ভবতী নারীদের জন্যেও নাকি ক্ষতির কারণ আছে চন্দ্রগ্রহণ।
কুসংস্কার বলছে, গর্ভবতী নারীদের উপর নাকি সবথেকে বেশি পড়ে গ্রহণের এফেক্ট। যদিও অনেকে বিষয়টি বিশ্বাস করে না বিষয়টিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে উড়িয়ে দেয়।