Deprecated: str_replace(): Passing null to parameter #3 ($subject) of type array|string is deprecated in /home/banglam2/abcnews.com.bd/common/config.php on line 162

Warning: session_start(): Session cannot be started after headers have already been sent in /home/banglam2/abcnews.com.bd/details.php on line 108
পুলিশ সদস্যের শিবালয়ের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রী

বুধবার,

১৯ মার্চ ২০২৫

|

৫ চৈত্র ১৪৩১

|

১৮ রমজান ১৪৪৬

বুধবার,

১৯ মার্চ ২০২৫

|

৫ চৈত্র ১৪৩১

|

১৮ রমজান ১৪৪৬

ABC News

পুলিশ সদস্যের শিবালয়ের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রী

ষ্টাফ রিপোর্টার:

প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২৫

পুলিশ সদস্যের শিবালয়ের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে কলেজ ছাত্রী

 

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিবালয়ে এক পুলিশ সদস্যের (প্রেমিকের) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে ৪দিন ধরে এক কলেজছাত্রী অবস্থান করছেন বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের ধূসর কালীবাড়ি গ্রামের মৃত সাহাজউদ্দিনের ছেলে মো. হাসান আলীর বাড়িতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থান করছেন ওই ছাত্রী।

 মঙ্গলবার(১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসানের বাড়ির সামনে উৎসুক মানুষের ভিড়। তবে বাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় ওই পুলিশ সদস্যের পরিবারের সদস্যদের সাথে  কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন আশপাশের গ্রামের শতাধিক নারী-পুরুষ ওই বাড়িতে মেয়েটিকে দেখার জন্য ভিড় করছেন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিএ (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

কলেজ ছাত্রী জানান, ফেসবুকে বন্ধুত্বের সূত্রে দীর্ঘ ৪বছর ধরে পুলিশ সদস্য হাসান আলীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে হাসান তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। হাসান নাটোরে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তাঁর কনস্টেবল নম্বর ৯৬৬ বিপি-৯৮১৮২১০৪০২। কিন্তু এখন তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ভুক্তভোগী ওই কলেজ শিক্ষার্থী আরো বলেন, ‘বিয়ের কথা বললে হাসান বলেন এ বিয়েতে তাঁর মা রাজি নন, তাকে(নারীকে) তার(হাসানের) বাড়িতে গিয়ে ওঠার পরামর্শ দেন। উপায় না দেখে গত ২৮ ডিসেম্বর তিনি(নারী) হাসানের বাড়িতে আসেন। পরে হাসানের মা ও পরিবারের লোকজন জানান, হাসান ছুটিতে এলে ৪০ দিন পর সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়া হবে। এ আশ্বাসে তিনি নিজের বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও বিয়ের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে তিনি (শিক্ষার্থী) পুনরায় হাসানের বাড়িতে আসেন। কিন্তু হাসানের মা ও বোন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। এখন হাসান তাকে বিয়ে না করলে সমাজে আর মুখ দেখাতে পারবেন বলে জানান ওই নারী।'

হাসানের মোবাইল নম্বরে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও  তার ফোনটি বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খবির উদ্দিন দৈনিক ভোরের কাগজকে বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে এই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে পুলিশের এই বাড়িতে অবস্থান নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। তখন ৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে না হওয়ায় মেয়েটি আবারও ছেলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন।’

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর এম আল-মামুন বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।